বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ২০৩০ সালের আগেই বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করবে। দেশের এ উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের অবদান অনেক। ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা ছাড়া দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাবার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যে সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। সবগুলোই হয়েছে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির কারনেই।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে। ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশকে উন্নতবিশ্বের সোথে প্রতিযোগিতা করেই ব্যবসা-বাণিজ্য করতে হবে। এজন্য আমাদের প্রস্তুতি দরকার। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য দক্ষতা বাড়াতে হবে ব্যবসা-বাণিজ্যে। দেশকে উন্নতস করতে রপ্তানি বৃদ্ধির বিকল্প নেই। রপ্তানি আয় বাড়াতে আমাদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। রপ্তানি বাণিজ্যে উৎসাহিত করার জন্য আজ ২০১৮ সালের জন্য মনোনিত ১৭৬ জন ব্যবসায়ীকে সিআইপি কার্জ প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার সবসময়ই ব্যবসায়ীদের উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছে। আগামীতেএ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ( ২০ জানুয়ারি) ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত সিআইপি(রপ্তানি) ও সিআইপি(ট্রেড)-২০১৮ কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে যেতে আমাদের সামনে সমস্যা অনেক, বাধা অনেক। দক্ষতার সাথে এগুলোকে অতিক্রম করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। অল্পসংখ্যক পণ্য নিয়ে বিশ্ব রপ্তানি বাজারে ভালো করা যাবে না। এজন্য রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বাড়াতে হবে, একই সাথে বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশ আছে, যেখানে বাংলাদেশের তৈরী পণ্যের প্রচুর চাহিদা আছে। সেখানে আমাদের রপ্তানি করতে হবে। ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নদেশ হিসেবে গড়ে তুলে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানরে স্বপ্নে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।
উল্লেখ্য, দেশের মোট ২২টি খাতের ১৮টি পণ্য এবং সেবা খাত থেকে ২০১৮ সালে মোট ১৩৮ জনকে সিআইপি(রপ্তানি) এবং একই সময়ের জন্য ৩৮ জন (পদাধিকার বলে) ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে সিআইপি (টেড্র)সহ সর্বমোট ১৭৬ জনকে সিআইপি সম্মানে ভূষিত করা হলো। সিআইপি মনোনিত সকলে তাঁর মেয়াদ কালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য পাশ ও গাড়ির স্টীকার পাবেন, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন কর্তৃক আয়োজিত নাগরিক সংম্বর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন, ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণ অগ্রাধীকার পাবেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।