পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ভোটে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে অন্তত আটজন প্রার্থী পেশোয়ার হাইকোর্টে (পিএইচসি) আবেদন করেছেন। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে জিও নিউজ।
হাইকোর্টে আবেদন করা প্রার্থীরা হলেন, সাবেক ডেপুটি স্পিকার মাহমুদ জান, সাবেক এমপিএ আরবাব জাহানদাদ খান, সাবেক প্রাদেশিক মন্ত্রী তৈমুর খান ঘাগরা ও কামরান বঙ্গশ। এ ছাড়া সাবেক জেলা নাজিম আরবাব অসীম, আলী জামান, মালিক হাশমতও আবেদন করেছেন।
পাকিস্তানের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে। এখন মানুষ অপেক্ষা করছে ফলের। দেরি হলেও ধীরে ধীরে নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরু করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে অর্ধেক আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এখনো এগিয়ে আছেন।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৫৬টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয় নিয়ে এখনো এগিয়ে রয়েছেন। এ ছাড়া দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন। তার দল পেয়েছে ৪৬টি আসন। আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপি। তারা পেয়েছে ৩৯টি আসন।
এর আগে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানজুড়ে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ বন্ধ হওয়ার ১৮ ঘণ্টা পর শুরু হয় ফল ঘোষণা। পাকিস্তানের যে কোনো নির্বাচনের জন্য এই বিলম্বের পরিমাণ অনেকটাই অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা।