জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান বলেছেন, শিক্ষকরা জাতি গঠনের কারিগর। জাতির ভবিষ্যৎ বিনির্মানে শিক্ষকদের ভূমিকাই মূখ্য। বিগত সময়ে শিক্ষকরা জাতীয়করণের যৌক্তিক দাবীতে রাজপথে দাবী আদায়ে সোচ্চার হলেও তাদের দমিয়ে রাখা হয়েছিল। দাবী আদায়ের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে শিক্ষকদের ওপর হামলা হয়েছিল। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে সরকারের পতন হয়েছে। এখন বৈষম্য দূর করে সাম্য ফিরিয়ে আনতে আগামী ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসের পূর্বেই জাতীয়করণের ঘোষণা দিতে হবে।
শনিবার সকাল ১১ টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বি- মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার নিকট তিনি উপর্যুক্ত দাবী জানান।
তিনি পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটিতে ইসলামীক স্কলারগণ না থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত জেনারেল শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামের গভীর জ্ঞানে সমৃদ্ধ বিজ্ঞ আলেম অন্তর্ভুক্তিরও দাবী জানান।
সংগঠন সিনিয়র সহ-সভাপতি মাও. এবিএম জাকারিয়া তার বক্তব্যে শিক্ষকদের বেতন পরিশোধে ইএফটি সিস্টেম চালুর পাশাপাশি উপযুক্ত বাড়ী ভাড়া,চিকিৎসা ভাতা প্রদান নিশ্চতকরণের আহ্বান জানান।
সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল প্রভাষক ডা. আব্দুস সবুর এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি মাও. এবিএম জাকারিয়া, ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা নেসার উদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারী জেনারেল ইশতিয়াক মু.আল -আমীন,সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার আহসানুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আহসান হাবীব, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মহিউদ্দিন মোল্লা, কে এম জাহিদ তিতুমীর, মহিউদ্দিন আকবর আলী,সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করীম,প্রভাষক আমজাদ হোসেন আজমী, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক ড. মাসুম রব্বানী আল আজহারী, আলিয়া মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক ড. মাও. আবু জাফর সালেহ, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক জনাব রুহুল আমীন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক ড. মাসউদুর রহমান, হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ বিষয়ক সম্পাদক ডা. আবদুল কাইয়ুমসহ কেন্দ্রীয় সদস্য প্রভাষক রিয়াজুল করীমসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলবৃন্দ।