শিরোনাম
  • ফের যে আসন থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল কে এই নতুন মেসি-ইয়ামাল? ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে যে নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আলুর দাম নিয়ে যে দুঃসংবাদ শোনালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ নিয়ে যা জানালেন আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার নির্বাচন নিয়ে চাপ দিলে পদত্যাগ করবো: সিইসি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বপ্নভঙ্গের হতাশা

    জাগো কণ্ঠ ডেস্ক

    ১৯ অগাস্ট, ২০২৫ ১০:০২ অপরাহ্ন

    যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বপ্নভঙ্গের হতাশা
    ছবি: সংগৃহীত

    ট্রাম্প প্রশাসনের নানা সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশাল প্রভাব ফেলেছে। ভিসা প্রক্রিয়ায় বিলম্ব, কয়েকশ শিক্ষার্থীর আইনগত মর্যাদা বাতিল ও পরে পুনর্বহাল, ভিসা আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া যাচাই, নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, গবেষণার তহবিল কাটছাঁট, ও ফিলিস্তিনিপন্থি আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সে সঙ্গে চীনা শিক্ষার্থীর ভিসা ‘আক্রমণাত্মকভাবে’ বাতিল করার পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে।

    এছাড়া এক পর্যায়ে প্রশাসন হার্ভাড আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি ঠেকাতে চেয়েছিল, যা নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হয়। হার্ভাড বলছে, এটি ছিল হোয়াইট হাউসের রাজনৈতিক প্রতিশোধ।

    ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে ১১ লাখের বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ছিল, যা মোট শিক্ষার্থীর ৬ শতাংশ। তবে ২০২৫ সালের মে মাসে এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার আগ্রহ মহামারি পরবর্তী সময়ে সর্বনিম্নে নেমেছে।

    নাফসা নামের আন্তর্জাতিক শিক্ষাবিষয়ক সংগঠনের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এ বছর নতুন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০-৪০ শতাংশ কমে যেতে পারে, ফলে সামগ্রিক ভর্তি হার ১৫ শতাংশ কমতে পারে।

    এ হ্রাসের জন্য দায়ী করেছে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ভিসা ইন্টারভিউ ও প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন, ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্টের স্বল্পতা এবং নতুন ভিসা যাচাই প্রক্রিয়াকে।

    আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আর্থিক সংকট সৃষ্টি করতে পারে। এসব শিক্ষার্থী সাধারণত দেশীয় শিক্ষার্থীদের তুলনায় দুই থেকে তিনগুণ বেশি টিউশন ফি প্রদান করে থাকেন এবং তারা প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ডলার অবদান রাখেন।

    বিশেষভাবে ইরানি শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে। ইরানের নাগরিকদের ওপর নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সুযোগ হারিয়েছেন।

    ২৩ বছর বয়সী ইরানি রোমিনা আয়োউবি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হলেও ভিসা জটিলতার কারণে যোগ দিতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘আমি খুব কষ্টে ভিসার জন্য ইন্টারভিউ দিতে ইরানের বাইরের একটি দেশে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম। এখন দেখি একমাত্র আমিই আসতে পারছি না।

    যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে গভীর অনিশ্চয়তা ও উৎকণ্ঠা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর তার প্রশাসন অভিবাসন ও উচ্চশিক্ষা নীতিতে যেসব কড়াকড়ি পদক্ষেপ নিয়েছে, তা শুধু নীতিগত পরিবেশকে নয়- আঘাত করেছে হাজারো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ ও উচ্চশিক্ষার আকাঙ্ক্ষাকে।

    সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।




    সাতদিনের সেরা খবর

    আন্তর্জাতিক - এর আরো খবর

    বাংলাদেশি শহীদুল আলমের ভাগ্যে যা ঘটলো!

    বাংলাদেশি শহীদুল আলমের ভাগ্যে যা ঘটলো!

    ১৯ অগাস্ট, ২০২৫ ১০:০২ অপরাহ্ন