বাংলাদেশকে আরও ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার সমান ৮৬ টাকা ধরে বাংলাদেশী মুদ্রায় এ ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সূত্রমতে, বাংলাদেশ ফাস্ট রিকভারি অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ডেভেলপমেন্ট ক্রেডিটের আওতায় এ ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের এ বাজেট সহায়তা করোনা-পরবর্তী উত্তরণের জন্য নেয়া যেকোনো খাতে বাংলাদেশ ব্যয় করতে পারবে।
সোমবার রাজধানীর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মোহাম্মদ আনিস ঋণ চুক্তিতে সই করেন।
বিশ্বব্যাংকের এ ঋণের সুদহার হবে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ, সার্ভিস চার্জ দশমিক ৭৫ শতাংশ। পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ আগামী ৩০ বছরে বাংলাদেশকে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯-এর বিরূপ প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে কার্যকরভাবে উত্তরণে সরকার অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও কৃষি খাত এবং রফতানিমুখী শিল্প খাতে প্রণোদনা দেয়াসহ খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কর্মসৃজন ও সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা বাড়াচ্ছে।
বিশ্বব্যাংক এ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রকল্পের আওতায় ২৫ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে। ঋণের এ অর্থ কভিড-১৯-পরবর্তী অর্থনৈতিক উত্তরণ এবং চলমান উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক।