সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, পাপেট শো তথা পুতুল নাচ কেবল নিছক বিনোদনের মাধ্যম নয়, এর মধ্য দিয়ে যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষণীয় বার্তা সমাজের সর্বস্তরে অতি সহজে পৌঁছে দেয়া যায়। ছোট বাচ্চা হতে শুরু করে বড়রা পর্যন্ত সকলেই পাপেট শো উপভোগ করেন। শিশুদের দেশপ্রেমিক ও নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা সর্বোপরি আনন্দের মধ্য দিয়ে শিক্ষার অন্যতম শিল্পমাধ্যম পাপেট শো।

প্রতিমন্ত্রী আজ (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বেইলি রোডস্থ বাংলাদেশের মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকা পাপেট থিয়েটার আয়োজিত 'বিজয়ের ৫০-এ পাপেট' শীর্ষক পাপেট শো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের ছোটবেলায় আমরা পুতুল নাচ দেখে বড় হয়েছি। যা সময়ের পরিক্রমায় গ্রাম-গঞ্জ ছাড়িয়ে শহরে স্থানান্তরিত হয়েছে। যদিও ধীরে ধীরে অন্যতম শিক্ষণীয় এ শিল্পমাধ্যম হারিয়ে যেতে বসেছে। তিনি বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় পুতুল নাচ শিল্পের বিকাশ ও পৃষ্ঠপোষকতায় কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিবছর পুতুল নাচ সংক্রান্ত কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ আয়োজন করে থাকে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, পুতুল নাচকে ছড়িয়ে দিতে আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছি। শিশুদের মাঝে জনপ্রিয় এ শিল্পমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রয়োজনে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত শিল্পী ও কলাকুশলীদের বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আইটিআই) বাংলাদেশ কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক দেবপ্রসাদ দেবনাথ ও বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব গোলাম সারওয়ার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির লাইট ডিজাইনার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।