মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস আশুলিয়াতে বহাল রাখার দাবিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। রোববার (১৬ জুলাই) সকাল ১০ টাই সম্মেলিত ক্লাবের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন কর। সভা শেষে শিক্ষার্থীরা আশুলিয়াকে স্থায়ী ক্যাম্পাস বহালের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে পোস্টারিং করা হয়।
প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের দাবি হচ্ছে, বর্তমানে স্থায়ী ক্যাম্পাস আশুলিয়া। যা ইউজিসি কর্তৃক স্বীকৃত সেখানে বর্তমান শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ২১০০ জন। অন্যদিকে অস্থায়ী ক্যাম্পাস গুলশান (মামলা চলমান) সেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৬০ জন। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের দাবি ইউজিসি কর্তৃক স্বীকৃত ক্যাম্পাসে (আশুলিয়া) শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিতর্কিত গুলশান ক্যাম্পাসের চেয়ে ৩ গুণ বেশি। তাছাড়া ক্লাসরুম, লাইব্রেরি, ল্যাব ফ্যাসিলিটি স্থায়ী ক্যাম্পাস আশুলিয়াতে পর্যাপ্ত রয়েছে। কিন্তু গুলশানে সেরকম কোন সুযোগ সুবিধা নেই। তারপরেও ৩০০০ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতকে হুমকির সম্মুখীন করে স্থায়ী ক্যাম্পাস ছেড়ে বিতর্কিত (ভাড়াকৃত) গুলশান ক্যাম্পাসে ক্লাস কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে যা ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত নয়।
ইউনিভার্সিটির প্রতিবাদকারী সকল শিক্ষার্থীরা মনে করে, ভিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কতিপয় সুবিধাভোগী শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মাননীয় মেয়র মহোদয়কে সম্পূর্ণ ভুল তথ্য প্রদান করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলামকে এভাবে তথ্য দিচ্ছেন যে, "আশুলিয়াতে ক্যাম্পাস চালালে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হবে না"। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আশুলিয়াতেই বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন আশুলিয়া হচ্ছে একটি একাডেমিক সিটি যেখানে ব্র্যাক, ড্যাফোডিল, ইস্টার্ন, সিটি সহ অন্যান্য আরো ইউনিভার্সিটি রয়েছে। মূলত প্রতিবাদকারী ছাত্ররা মনে করেন, ভিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কতিপয় আরামপ্রিয় ও সুবিধাভোগী শিক্ষক, কর্মকর্তা প্রতিদিন আশুলিয়াতে যাতায়াত করতে চান না। যার কারণে তারা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই প্রায় ৩০০০ শিক্ষার্থীর জীবনকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।
এছাড়া,ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত স্থায়ী ক্যাম্পাস আশুলিয়াতে থাকলেও বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা এবং ৩.০৪ একর ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত অবকাঠামো সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ তথ্য গোপন করেছেন বলে শিক্ষার্থীরা মন্তব্য করেন।