নতুন পে কমিশনের সিদ্ধান্ত আগামী নির্বাচিত সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ রবিবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
দেশের সার্বিক দিকের অগ্রগতি ভালো তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমেছে, কিন্তু বাড়িভাড়া ও পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি পণ্যের দাম সহনীয় মাত্রায় আনতে। তবে সার্বিকভাবে পণ্যের দাম স্বাভাবিক আছে। চালের দামও সহনীয় রয়েছে।
আইএমএফের ঋণের কিস্তি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফের সঙ্গে কথা চলছে কিস্তি নিয়ে। আমাদের কাছে যেসব তথ্য আছে তা আগামী সরকারের কাছে প্যাকেজ আকারে দেওয়া হবে। তবে ঋণের ৬ষ্ঠ কিস্তির অর্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় আসবে না। রাজনৈতিক সরকারের কার্যক্রম দেখে কিস্তি ছাড় করবে বা সিদ্ধান্ত নেবে প্রতিষ্ঠানটি।
তিনি আরও বলেন, অপরিশোধিত তেল আমদানির জন্য চেষ্টা করছে সরকার। সার ও কৃষিতে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করা হচ্ছে। আজকের ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন দেশ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এ বছর আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এর মধ্যে সাড়ে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান ও ৬ লাখ টন সেদ্ধ চাল ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতি কেজি আমন ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪ টাকা আর সেদ্ধ চাল কেনা হবে ৫০ টাকা এবং আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি দরে। ধান ও চালের এ দাম গত বছরের তুলনায় কেজি প্রতি ৪ টাকা বেশি।
এই ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ২০ নভেম্বর। ধান-চাল সংগ্রহ আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।