শিরোনাম
  • ফের যে আসন থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল কে এই নতুন মেসি-ইয়ামাল? ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে যে নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আলুর দাম নিয়ে যে দুঃসংবাদ শোনালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ নিয়ে যা জানালেন আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার নির্বাচন নিয়ে চাপ দিলে পদত্যাগ করবো: সিইসি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • নির্বাচনী হালচাল ; ২৬৭/ফেনী-৩ সোনাগাজী- দাগনভুঞা

    গাজী হানিফ, ফেনী প্রতিনিধি

    ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ ১১:১৬ পূর্বাহ্ন

    নির্বাচনী হালচাল ; ২৬৭/ফেনী-৩ সোনাগাজী- দাগনভুঞা

    বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় আসন ২৬৭/ ফেনী-৩  একসময় এটি ফেনী সদর আংশিক ও সোনাগাজী এলাকা নিয়ে গঠিত হয়েছিল, পরবর্তীতে ফেনী সদর বাদ দিয়ে সোনাগাজীর সাথে দাগনভুঞা উপজেলাকে সংযুক্ত করে এই আসনটি পুনঃগঠিত হয়। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা (২০২৩ সালে হালনাগাদ তালিকা) ৪লাখ ৯৮ হাজার ২২জন, পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬০ হাজার, ৩৩৬ জন, নারী ভোটার ২লাখ ৩৭ হাজার ৬৮৫জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১১২টি।

    এই আসনে ১৯৯১ সাল থেকে পরপর ৫বার বিএনপি সমর্থিত (ধানের শীষ প্রতীকের) প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির আলহাজ্ব মুজিবুল হক চৌধুরী ও তার আগে ১৯৭০,১৯৭৩ ও ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে ৩বার আওয়ামিলীগের (নৌকা প্রতীক নিয়ে) প্রয়াত এবিএম তালেব আলী এমপি নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। ১৯৯১    ও ১৫ই ফেব্রুয়ারী ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির মাহবুবুল আলম তারা (ধানের শীষ) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। তারপর জুন ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরপর ৩বার বিএনপির মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন (ধানের শীষ) এমপি নির্বাচিত হন।

    ২০১৪ সালে (বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেনি) উক্ত নির্বাচনে আওয়ামিলীগ সমর্থিত (সতন্ত্র প্রার্থী) হাজী রহিম উল্লাহ সাংসদ নির্বাচিত হন। এবং ২০১৮ সালে বিএনপির প্রার্থী আকবর হোসেনকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে লেঃ জেনারেল (অবঃ)    মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী    জাতীয় পার্টি (এরশাদ) লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন।

    ভোটের পরিসংখ্যান :-
    ১৯৯১ সালে বিএনপির মাহবুবুল আলম তারা    ৪০,৪০৬    ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে ছিলেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের     এবিএম তালেব আলী    ৩৪,৪৬৭    পেয়ে ছিলেন। ১২ই জুন ১৯৯৬ নির্বাচনে বিএনপির মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন    ৫৮,৪৩৯    ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের জয়নাল আবেদীন হাজারী    ৪২,১৮২    ভোট পেয়েছেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন    ৯৪,৩২১    ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী
    আওয়ামীলীগ সমর্থিত    মাহবুবুল আলম তারা    ৪২,২১২    ভোট পেয়েছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির    মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ১,৩৪,৯৩৯ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী
    আওয়ামীলীগের আবুল বাশার    ৯৩,৬৩০    ভোট পেয়েছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামিলীগ সমর্থিত (স্বতন্ত্র প্রার্থী) হাজী রহিম উল্লাহ    ৫৭,৬১৫    পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি (এরশাদ)    রিন্টু আনোয়ার    ১৫,৩৪১    ভোট পেয়েছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে মহাজোট সমর্থিত জাতীয় পার্টি (এরশাদ) প্রার্থী লেঃ জেনারেল (অবঃ) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আকবর হোসেন (ধানের শীষ) ১৪,৬৭৪ ভোট পেয়েছেন।

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র এড. রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন- ফেনী-৩ আসনে আওয়ামীলীগের অবস্থান আগের যেকোনো সময় থেকে শক্তিশালী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর নেতৃত্বে এই সংসদীয় আসন আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। প্রার্থী যাকেই দেওয়া হোক এ আসনে নৌকার প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। এবং তিনি নিজেও একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানান।

    এই আসনে যারা প্রার্থী হতে পারেন  বলে সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে..

    জেনারেল (অবঃ) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী :-
    জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে বর্তমান সাংসদ লেঃ জেনারেল (অবঃ) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী আবারও প্রার্থী হতে পারেন। তিনি ২০০৭-৮ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের সময়কার একজন আলোচিত (অবঃ) সেনা কর্মকর্তা ও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচিত হন। কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পার্টির চেয়ারম্যান প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে নির্বাচনী এলাকায় তিনি বেশ জনপ্রিয়। জোটগত নির্বাচন হলে আওয়ামিলীগ এই আসনটি জাতীয় পার্টিকে হয়তো ছেড়ে দিতে পারে, সেক্ষেত্রে জেনারেল মাসুদ চৌধুরী আবারও এমপি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা বিদ্যমান।

    হাজী রহিম উল্যাহ :-
    সাবেক জেদ্দা আওয়ামিলীগের নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, তিনি ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জাতীয়পার্টি (এরশাদ) মনোনীত প্রার্থী রিন্টু আনোয়ারকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। অত্র নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি সাধারণ মানুষের নিকট তিনি অত্যান্ত জনপ্রিয়। দল থেকে মনোনয়ন না পেলে এবারও তিনি সতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন।

    জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন :-
    সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফেনী জেলা আওয়ামিলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি, তিনি ভদ্র ও পরিচ্ছন্ন নেতা হিসেবে বর্তমান ছাত্র ও যুব সমাজের নিকট ব্যাপক জনপ্রিয়। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর সাধারণ মানুষের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে, আওয়ামিলীগের মনোনয়ন দৌড়ে তিনি ভালো অবস্থানে রয়েছেন।

    দিদারুল কবির রতন :-
    ফেনী জেলা যুবলীগের সভাপতি ও দাগনভুঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, যুবলীগের রাজনীতিতে প্রভাবশালী নেতা, জেলা আওয়ামিলীগ নেতৃবৃন্দের আস্থাভাজন, তিনিও মনোনয়ন দৌড়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন।

    আবুল বাশার :-
    কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বায়রার চেয়ারম্যান আবুল বাশার, তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামিলীগ থেকে নৌকা প্রতীকে অংশে নিয়ে এই আসনে সর্বোচ্চ ৯৩,৬৩০ ভোট পেয়ে ছিলেন। আওয়ামিলীগের (নৌকা মার্কার) মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনিই সবচেয়ে এগিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হয়।

    জেড এম কামরুল আনাম :-
    সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামিলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক (২ দফায় নির্বাচিত) চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা তিনিও একজন নেহায়েত ভদ্রলোক হিসেবে এলাকায় পরিচিত, তিনি পরপর কয়েকবার মনোনয়ন ছেয়ে বঞ্চিত হয়েছেন, এবারেও মনোনয়ন চাইতে পারেন।

    এছাড়াও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামিলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী এবং নাট্য অভিনেত্রী শমী কায়সার, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এড. নিজাম উদ্দিন, শিল্পপতি আক্রাম হোসেন হুমায়ুন ও নিজাম চৌধুরী সহ অনেকের নাম মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে শোনা যাচ্ছে।

    সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলেন, বিএনপির একটাই লক্ষ্য এক দফা। আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেই তারা ভোটে আসবেন। তিনি বলেন, এই আসনটি বিএনপির ঘাঁটি অবাধ, নিরপেক্ষ ভোট হলে এখানে বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হবে।

    আবদুল আউয়াল মিন্টু :-
    বিএনপি নির্বাচনে আসলে এই আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হতে পারেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি, শিল্পোদ্যোক্তা ও সমাজসেবক আবদুল আউয়াল মিন্টু। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা-হামলায় সুখে-দুঃখে তিনি পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

    এছাড়াও বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দাগনভুঞা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল লতিফ জনি, সাঈদ হোসেন চৌধুরী, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) নাছির উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এড. শাহানা আক্তার শানু, সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আলহাজ্ব সোলায়মান ভূঞা সহ আরও অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে, তাদের যে-কেউ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারেন। তবে বিএনপিকে এই আসন পুনরুদ্ধার করতে হলে আবদুল আউয়াল মিন্টুকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী করতে হবে বলে জানান বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

    এছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম থেকে ড. ফখরুদ্দিন মানিক, জাতীয় পার্টি থেকে আনোয়ারুল কবির রিন্টু, ইসলামি আন্দোলন থেকে মাওলানা আবদুর রাজ্জাক অথবা প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল করিম প্রার্থী হতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট দলীয় সূত্র জানিয়েছেন।




    সাতদিনের সেরা খবর

    সারাদেশ - এর আরো খবর

    যে কারণে পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ

    যে কারণে পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ

    ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ ১১:১৬ পূর্বাহ্ন

    যে কারণে ৭ দিন বন্ধ সোনাহাট স্থলবন্দর!

    যে কারণে ৭ দিন বন্ধ সোনাহাট স্থলবন্দর!

    ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ ১১:১৬ পূর্বাহ্ন