শিরোনাম
  • ফের যে আসন থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল কে এই নতুন মেসি-ইয়ামাল? ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে যে নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আলুর দাম নিয়ে যে দুঃসংবাদ শোনালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ নিয়ে যা জানালেন আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার নির্বাচন নিয়ে চাপ দিলে পদত্যাগ করবো: সিইসি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • শিবগঞ্জে পান গাছে ক্লোড ইনজুরী, অর্ধশত চাষীর মাথায় হাত

    সফিকুল ইসলাম, চাঁপাাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

    ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪ ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন

    শিবগঞ্জে পান গাছে ক্লোড ইনজুরী, অর্ধশত চাষীর মাথায় হাত

    প্রায় ১৫দিন যাবত কনকনে ঠান্ডা ও শৈত্য প্রবাহে পান গাছ ধ্বংসের পথে। ঐতিহ্য হারাতে বসেছে কানসাটের এই পানের। ফলে শিবগঞ্জের কানসাট ও মোবারকপুরে প্রায ৫০বিঘা জমিতে চাষ করা ৫০জন পান চাষীদের মাথায় হাত উঠেছে। তাদের ভাষ্য হলো কনকনে ঠান্ডা ও শৈত্য প্রবাহের কারণে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পান  গাছের গোড়া পচে যাচ্ছে। পানের গায়ে  লাল ও কালো দাগ পড়ার দুই একদিনের মধ্যে ঝরে পড়ছে।গোড়ায় পচন ধরা পান গাছ গুলি আস্তে আস্তে শুকিযে শুকিয়ে একেবারে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

    তাদের অভিযোগ হলো কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কোন অফিসার এ পর্যন্ত পানের বরজে (জমিতে) আসেনি এবং কোন পরামর্শও দেননি। তবে কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।  

    সরজমিনে পানের বরজে ঘুরার সময় পান চাষী কানসাট মিল্লিক মোড়ের শাকির আলী বলেন, বংশানুক্রমিকভাবে প্রায় এক’শ বছর ধরে আমরা পান চাষ করে আসছি। কোন বছরই এভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। আমার আড়াই বিঘা জমিতে দুইটি পানের বরজ আছে। এপর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায আড়াই লাখ টাকা। প্রতি বছরই খরচ প্রায় একই হয়। কিন্তু পান বিক্রী করে পুঁজি বাদে লাভ থাক্ েযা দিয়ে সংসার ও ছেলেমেয়েদের পড়াশনার খরচ চলে। কিন্তু এবার লাভ তো দূরের কথা খরচও  উঠবে না। কারণ প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে কনকনে ঠান্ডা ও শৈত্যপ্রবাহে ছত্রাক জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পান গাছ মরে যাচ্ছে এবং পান গাছ থেকে পান ঝরে পড়ে যাচ্ছে।

    কানসাট কলকলিয়া গ্রামের মাহিদুর রহমানের ছেলে কাদিরুল ইসলাম জানান,  বিঘা প্রতি ২৫হাজার দরে একবিঘা জমি  আট বছরের জন্য বর্গা নিয়ে পান চাষ করে আসছি। প্রতিবছরই খরচ বাদে প্রায় এক লাখ টাকা লাভ হতো। তিনি বলেন, একবিঘা জমিতে দুই’শ কেজি খৈল, অন্যান্য রাসায়নিক সার একমন ও বরজ (পানের মাচা) তৈরী করতে ও  শ্রমিক সহ সব মিলিয়ে খরচ হয় বিঘায় এক লাখ টাকা। প্রতিবছরই খরচ বাদে মোটা অংকের টাকা লাভ হয়। কিন্তু এবার আমার মাথায হাত উঠেছে। কারণ অতিরিক্ত কনকনে ঠান্ডা ও দীর্ঘদিন যাবত শৈত্য প্রবাহের কারনে পান ও পান গাছে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পান ঝরে পড়ছে ও পান গাছ মরে যাচ্ছে।

    তিনি আরো বলেন, এপর্যন্ত অন্যান্য কৃষকের মত আমরা কোন প্রণোদনা পাইনি। একই ধরনের অভিযোগ করলেন কানসাটের বিভিন্ন এলাকার পানচাষী লিটন আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, মহিরুল ইসলাম শুকুল আলি, কেতু মন্ডল, আসতুর রহমান, নজরুল ইসলাম, মুনজুর আলী, রফিক উদ্দিন, সাইদুল ইসলামসহ অনেকেই।
    তারা বলেন, আমাদের এখানে প্রায় ৫০জন পানচাষী আছে। তারা সবাই এক ধরনের হতাশায় ভুগছে।


    তবে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম ঢাকায় প্রশিক্ষণে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও শিবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার সুনাইন বীন জামান পান চাষীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী কানসাটের পানের ঐতিহ্য ধরে রাখতে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে কানসাট ও  মোবারকপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি অফিসারগণ পানচাষীদের সাথে যোগাযোগ করে খোঁজখবর নিচ্ছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি অফিসার ড, পলাশ সরকার ও আমাদের উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম  একাধিকবার পানের বরজ প্রদর্শণ করেছেন এবং দুটি প্রদর্শণী ক্ষেতও আছে। গত  ১৭-০৫-২০২৩খ্রী: তারিখে কানসাট কলকলি  গ্রামের শমসেরের ছেলে আতাউর রহমানকে প্রায় ২৫হাজার টাকা মূল্যের  পান চাষের বিভিন্ন উপকরণাদি দেয়া হয়েছে। এবারও কানসাট ইউনিয়নের বাঘদূর্গপুর গ্রামের আরিফ উদ্দিনকে পানের চাষ করার জন্য প্রায় ২৫হাজার টাকা মুল্যেও উপকরণাদি দেয়া হবে।       
                                                                                                                                             
    তিনি আরো বলেন, শিবগঞ্জের কানসাট ও মোবারকপুরে  মোট ২৯জন পান চাষী আছে। পান চাষ হচ্ছে প্রায় পাঁচ হেক্টর জমিতে শতাধিক বছরের পুরাতন কানসাটের পানের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পান চাষ সম্প্রসারণ ও উন্নত পান চাষের চেষ্টা করছি।  উল্লেখ্য যে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার জমিদার কুঞ্চ রাজার জমিদারী এলাকার কানসাট ইউনিয়নের বাঘদুর্গপুর নালার দুই পাশে শত শত পানের বরজ ছিল এবং এখানকার উৎপাদিত পান অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় ভারতীয় উপমহাদেশে কানসাটের পানের সুনাম থাকায় এখানকার উতপাদিত পান পাকিস্থানের করাচী, লাহোর ও ভারতে কলিকাতা, বাংলাদেশের ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী করা হতো। সে সময় কানসাট ও মোবারকপুর ইউনিয়নের জীবীকা নির্বাহের অন্যতম পন্থাই ছিল পান উৎপাদন।

     




    সাতদিনের সেরা খবর

    সারাদেশ - এর আরো খবর

    যে কারণে পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ

    যে কারণে পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ

    ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪ ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন

    যে কারণে ৭ দিন বন্ধ সোনাহাট স্থলবন্দর!

    যে কারণে ৭ দিন বন্ধ সোনাহাট স্থলবন্দর!

    ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪ ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন

     সরাইলে তিতাস নদীতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন

    সরাইলে তিতাস নদীতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন

    ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪ ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন

    খুলনায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংসসহ যে ভাবে শিকারি আটক!

    খুলনায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংসসহ যে ভাবে শিকারি আটক!

    ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪ ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন