শিরোনাম
  • ফের যে আসন থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল কে এই নতুন মেসি-ইয়ামাল? ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে যে নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আলুর দাম নিয়ে যে দুঃসংবাদ শোনালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ নিয়ে যা জানালেন আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার নির্বাচন নিয়ে চাপ দিলে পদত্যাগ করবো: সিইসি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জে তীব্র হচ্ছে পদ্মার ভাঙ্গন, বিলীন হচ্ছে বাড়িঘর ও ফসলী জমি

    চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

    ১৬ জুলাই, ২০২৪ ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন

    চাঁপাইনবাবগঞ্জে তীব্র হচ্ছে পদ্মার ভাঙ্গন, বিলীন হচ্ছে বাড়িঘর ও ফসলী জমি

    চাঁপাইনবাবগঞ্জে আবারো শুরু হয়েছে পদ্মার ভাঙ্গন। পদ্মার এ আগ্রাসন ভাঙ্গনে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। শিক্ষা  ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পড়েছে হুমকীর মুখে। শিবগঞ্জ উপজেলার মানচিত্র হতে বহু আগেই বিলীন হয়ে গেছে উজিরপুর ইউনিয়ন। এবার বিলীণ  হতে চলেছে  ১২ নং পাঁকা ইউনিয়ন। কয়েকবছর থেকে চলছে তীব্র ভাঙ্গন। এলাাকবাসীর অভিযোগ পদ্মার ভাঙ্গনে আমরা বারবার এত কষ্ট পেলেও কোন জন প্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড আমাদের পাশে আসছে না।  এক  সপ্তাহ আগে   পাঁকা   ইউনিয়নের ৪,৫  ৬,৩ ও ৮  নং ওয়ার্ডেও, বোগলাউড়ি ও লক্ষীপুর, দক্ষিণ পাকা ও কানছিড়া (জাইটপাড়া এবং দূর্লভপুর ইউনিয়নের  ৮ ও ৯ ওয়ার্ডেও  চর জগনাথপুর, আইয়ুব বিশ্বাসের টোলা ও,পন্ডিত পাড়া ও মনোহরপুর গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।  বিলীন হয়েছে শত শত একর ফসলী জমি ও আম বাগান। সরজমিনে গিয়ে নদী ভাঙ্গন এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা  গেছে ভয়াবহ চিত্র। 
    অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা কয়েকটি ইউনিয়নে চলছে তীব্র ভাঙ্গন । বিশেষ করে  নারায়নপুর,বকচর, ও পোলাডাঙ্গা এলাকায় তীব্র ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলী হচ্ছে। ভাঙ্গন এলাকার নুহুর ছেলে আলমীগীর জানান গত নয়  বছর ধরে প্রতি বছরই এ  সময় ভাঙ্গন শুরু হয়। কয়েকবার বাড়ি সরাতে হয়েছে। নিজের জমি জায়গা সব বিলীন হয়ে গেছে। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে বাড়ি করতে হচ্ছে। একদিকে আর্থিক অনটন, অন্যদিকে সব পুঁজি হারিয়ে দিশে হারা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নদী ভাঙ্গ ন রোধে সরকার বা জনপ্রতিনিধি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নাই। গত বার  শুধু জি ও ব্যাগ দিয়ে সাময়িকভাবে নদী ভাঙ্গন রোধ করেছিল। তা নদীতে ভেসে গেছে। এপর্যন্ত যা করেছে তা কোন কাজে আসেনি। 

    বোগলা উড়ি গ্রামের বাসিন্দা ও লক্ষীপুর ও হাসানপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল বারী জানান, কয়েকবার  পদ্মার ভাঙ্গনে শিকার হয়ে শেষে বোগলা উড়িতে বাড়ি করেছিলাম। তাও এবার আর থাকতে  পারছি না। কোথাও যেতে হবে। কি করবো কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। নদী ভাঙ্গন এলাকার মোবারক হোসেন জানান এর আগে কয়েকবার পদ্মার ভাঙ্গনে বাড়ি সরাতে হয়েছে। এবারও ভাঙ্গনে বসতবাটি বিলীন হয়ে গেছে। ঘরগুলো কোন রকমে টেনে অন্য স্থানে রেখেছি। কোন স্থান পাইনি ঘর তুলার মত । তাই খোলা আকাশের নীচে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।  সরজমিনে পাঁকা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাকা গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে শরিফ উদ্দিন জানান,জমি জমা ঘর বাড়ি সব ছিল,কয়েকবার ভাঙ্গনের কবলে  পড়ে সব বিলিন হয়ে গেছে। এখন নি:স্ব হয়ে পথে পথে ঘুরছি। কোথাও কোন আশ্রয় নেই।সরজমিনে গেলে এলাকার মানুষ অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে বলেন নির্বাচনের সময় অনেক নেতাই বিভিন্ন ধরনের আশ^াস দিলে ভাঙ্গনের সময় কেউ মুখ দেখাতেও আসেনা। এখন আমাদের দুর্দিন চলছে। নেই কোন সহযোগিতা । নেই কোন ভাঙ্গন প্রতিরোধের ব্যবস্থা। নেউ কোন আশ্রয় কেন্দ্র।  সরজমিনে গিয়ে দেখা  গেছে ভাঙ্গন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। মানুষের ঘর বাড়ির সরিয়ে নেয়ার সময় টুকুও পাচ্ছে না। 

    তারা বলেন,  গত এক সপ্তাহে পাঁকা ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রামে প্রায় দুই শো বাড়ি ঘর পদ্মার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। অন্যদিকে দূর্লভপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর,চরজগনাথপুর, আইয়ুব বিশ্বাসের টোলা ও পন্ডিত পাড়া গ্রামের প্রায়  একশো বাড়িঘর বিলীন হয়েছে। ফসলী জমি বিলীন হয়েছে প্রায় সহস্রাধিক বিঘা। পাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, গত এক সপ্তাহের ভাঙ্গনে প্রায ৬০টি বাড়ি ঘর বিলীণ হয়েছে। শতাধিক একর জমির ফসল ও  ১০ একর জমির আম বাগান বিলীন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তবে গত বুধবার উপজেলার মাসিক সভায় পাঁকা ইউনিয়নের তীব্র ভাঙ্গনের কথা তুলে ধরেছি। ভাঙ্গন রোধ, মানুষের আশ্রয় স্থল ও খাদ্যের ব্যবস্থার জন্য আবেদন করেছি। সভায় আমাদের মহিলা এমপি জারা জাবিন মাহবুব উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে  দূর্লভপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আজম বলেন,তীব্র ভাঙ্গনের খবর শুনেছি। পরিদর্শনে যাব।

    তিনি আরো বলেন উপজেলার মাসিক সভায় বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো:আফতাবুজ্জামান আল ইমরান জানান বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসককে জানাবো। অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা  পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় উপসহকারী প্রকৌশলী ময়েজ উদ্দিন জানান, আমাদের প্রধান কৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গুরুত্বের সাথে আমরা পদক্ষেপ গ্রহন করেছি। টেন্ডার দেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙ্গন রোধ করা হবে। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে মনোহরপুর এলাকায়  ৩০০ মিটার,বোগলাউড়ি এলাকায়  ৩০০মিটার, বকচর বিওপি এলাকায় ১৫০ মিটার ও পোলাডাঙ্গা এলাকায় ১৫০ মিটার জিও ব্যাগ ও জিটিও ডামপিং এর মাধ্যমে ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।  




    সাতদিনের সেরা খবর

    সারাদেশ - এর আরো খবর

    যে কারণে ৭ দিন বন্ধ সোনাহাট স্থলবন্দর!

    যে কারণে ৭ দিন বন্ধ সোনাহাট স্থলবন্দর!

    ১৬ জুলাই, ২০২৪ ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন