রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামীকাল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ। সমাবেশের সব প্রস্তুতিও শেষ। ইতোমধ্যে নেতাকর্মীদের একটা বড় অংশের উদ্যানে ঢল নেমেছে। আগামীকাল জনসমুদ্রের অপেক্ষায় উদ্যান। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আরেকটা নতুন ইতিহাস রচনা করতে চায় দলটি। মাঠের চারপাশে টানানো হয়েছে ব্যানার–ফেস্টুন, মঞ্চের সামনে সাজানো সারি সারি চেয়ার, টয়লেট, পানির কল, জায়ান্ট স্ক্রিন—সবই প্রস্তুত।
এবারের জাতীয় সমাবেশে অন্তত ১০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে আশা করছে জামায়াত। জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। জানতে চাইলে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, সন্ধ্যার মধ্যেই মাঠের প্রস্তুতি চূড়ান্তভাবে শেষ করতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশন, ইট ফেলা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রচুর কষ্ট করতে হয়েছে।
জামায়াত নেতারা জানিয়েছেন, মঞ্চের দুই পাশে থাকছে দুটি বড় জায়ান্ট স্ক্রিন এবং সমাবেশের আশেপাশে গুরুত্বপূর্ণ ৫০টিরও বেশি পয়েন্টে বসানো হয়েছে এলইডি স্ক্রিন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাজুড়ে ৪০০টির বেশি মাইক বসানো হয়েছে। অতিথি ও নেতাদের বসার জন্য মঞ্চের সামনের দুই পাশে রাখা হয়েছে ৬০০ চেয়ার।
মাঠের ভেতরে ও বাইরে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে স্থাপন করা হয়েছে একাধিক মনিটরিং সেল। দলে ৬ হাজারের মতো স্বেচ্ছাসেবক আটটি বিভাগের আওতায় কাজ করবেন বলে জানানো হয়েছে। যাতায়াত ব্যবস্থাপনায় ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছে জামায়াত নেতারা। ঢাকার বাইরের বাসগুলোর ড্রপিং পয়েন্ট নিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশনা তৈরি হয়েছে।
দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আল্লাহর ওপর ভরসা করেই আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান শেষ করতে চাই। রাজধানীবাসীর কাছে আগাম দুঃখপ্রকাশ করছি, যানজট হলে কষ্ট হবে—কিন্তু আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি যেন ভোগান্তি কম হয়। গতকালও সংবাদ সম্মেলনে আমরা ক্ষমা চেয়েছি, আজও সেই অনুরোধ করছি।
প্রসঙ্গত, সমাবেশ সফল করার জন্য মাঠজুড়ে চলে টানা এক মাসের প্রস্তুতি। যানজট ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া নিয়েও দলটির নেতারা সতর্ক। সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে উদ্যান পরিদর্শন। এখন শুধু অপেক্ষা— জাতীয় সমাবেশের দিনভোর ইতিহাস রচনার।