চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে মাশুল বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে আমদানিতে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা পড়বে ভোক্তাদের ওপর। রফতানিতে প্রতিযোগিতা সক্ষমতাও কমাতে পারে এই বাড়তি মাশুল। এতে সবদিকে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের।
তবে চট্টগ্রাম বন্দর ও বেসরকারি কনটেইনার ডিপো মালিকদের ৪০ শতাংশ মাশুল বাড়ালেই বাড়তি আয় হবে এক হাজার আটশ কোটি টাকা।
গত বছর ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দর আয় করেছে ৫হাজার ৫৫কোটি টাকা। রিভার ডিউজ, পাইলটিং, কনটেইনার ও পণ্য ওঠা-নামা, ভাড়াসহ বিভিন্নখাত থেকে এই বিপুল আয় এসেছে।
এসব টাকা বন্দর ব্যবহারকারীরা দিলেও এরমধ্যে ৭০ভাগ এসেছে দেশের অভ্যন্তরীণ খাত থেকে। বাকি ৩০ ভাগ টাকা বিদেশি খাত থেকে। অর্থাৎ আমদানি-রফতানিকারকদের কাছ থেকে মিলেছে এই বিপুল অংকের টাকা।
বন্দরের মাশুল আদায়ের প্রধান দুটি খাত জাহাজ ও পণ্য পরিবহন সেবা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই দুইখাতে মাশুল আদায় হয়েছে ৩ হাজার ৯১২ কোটি টাকা।
গেজেট প্রকাশের পর বন্দরের নতুন মাশুল কার্যকর হলে এ ক্ষেত্রে আয় বাড়বে ৪০শতাংশ। বাড়তি মাশুলে বন্দরের আয় বাড়বে দেড় হাজার কোটি টাকা।
এরইমধ্যে বেসরকারি কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন এক সার্কুলারে সেবাভেদে ৩০থেকে ১০০ শতাংশ মাশুল বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। যা ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকরের কথা রয়েছে।