অবসরে যাওয়ার পর জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন সাবেক জেনারেল মাসুদ উদ্দিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফেনীর সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ সাবেক অর্থমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেমালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে অবৈধ ব্যবসা শুরু করেন। এ অভিযোগে তার অভিযোগে ১৬টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
অর্থ পাচারের’ অভিযোগে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
জরুরি অবস্থার সময় আলোচিত এই সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও তার স্ত্রী ও মেয়েকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে, এ তালিকায় আছেন আরও ৩০ জন। তাদের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঢাকার বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করার তথ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট জেনারেল মাসুদ উদ্দিন মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির সঙ্গে জড়িত ‘চক্রের অন্যতম সদস্য’। জনশক্তি রপ্তানির প্রতিষ্ঠান ফাইভ এম ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি।
মামলার এজাহারের বরাতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাসুদ উদ্দিন এবং তার জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান ফাইভ এম ইন্টারন্যাশনাল অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগসাজশে ‘প্রতারণার’ মাধ্যমে ২০১৬ সালের ১৮ অগাস্ট থেকে ২০২৪ সালের ৩০ মে পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৩৭২ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠায়।
“এ সময় সরকার নির্ধারিত ফি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার অতিরিক্ত জনপ্রতি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায় করে। এছাড়া পাসপোর্ট, কোভিড-১৯ টেস্ট, মেডিকেল ও পোশাক বাবদ অতিরিক্ত ৩৬৫০০ টাকা আদায় করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
এসব ‘অনিয়মের’ মাধ্যমে মোট ১০০ কোটি ৭৫ লাখ ৮৩ হাজার ৭২০ টাকা পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “মামলায় ফাইভ এম ইন্টারন্যাশনালের পরিচালকমণ্ডলী এবং প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে কর্মী প্রেরণকারী সিন্ডিকেট সদস্যদেরও ‘অভিযুক্ত’ করা হয়েছে।”