যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে একটি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনায় ১৮ জন শিশু সহ ২১ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ মে) মেক্সিকো সীমান্তবর্তী উভালদে এলাকার একটি এলিমেন্টারি স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকহামলার ঘটনা প্রায় নিয়মিত হয়ে দাড়িয়েছে। তবে গত ১০ বছরের মধ্যে দেশটির স্কুলে সংঘটিত হামলার মধ্যে এটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা বলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে, ১৮ বছর বয়সী এক কিশোর প্রথমে তার দাদিকে গুলি করে রব স এলিমেন্টারি স্কুলের দিকে যায় এবং একটি হ্যান্ডগান নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় সম্ভবত একটি বন্দুকও তার সঙ্গে ছিল।
গভর্নর জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন কিশোরের নাম সালভাদর রামোস। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও স্থানীয় বাসিন্দা। সম্ভবত নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের গুলিতে হামলাকারীও নিহত হয়েছেন।
টেক্সাসের সিনেটর রোল্যান্ড গুতেরেস সিএনএনকে জানিয়েছেন, হামলায় তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিও মারা গেছে। তবে এই তিনজনের মধ্যে হামলাকারীও রয়েছেন কি না তা নিশ্চিত নয়।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, পুলিশ ছোট ছোট শিশুদের স্কুল থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছে। এসব শিশুর বয়স সাত থেকে ১০ বছরের মধ্যে বলে ধারণা করা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে ২০১২ সালের পর থেকে এটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। ওই বছর কানেক্টিকাটের স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে বন্দুকহামলায় ২০ শিশু ও ছয় কর্মকর্তা নিহত হন।
এদিকে, রব এলিমেন্টারি স্কুলে প্রাণঘাতী এ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৮ মে পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। এ ধরনের ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে, যে জন্য বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন আরও কঠোর করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের জিজ্ঞেস করতে হবে, আমরা কখন বন্দুক লবির বিরুদ্ধে দাঁড়াবো? যা দরকার তা আমরা কবে করবো? আমরা কেন এমন হত্যাযজ্ঞের মধ্যে বাঁচতে চাই? তিনি বলেন, আমি পীড়িত ও ক্লান্ত। আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। বলবেন না যে, এমন হত্যাকাণ্ডের ওপর আমরা কোনো প্রভাব ফেলতে পারবো না।