মানুষের শরীরের জন্য পটাশিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও ইলেকট্রোলাইট উপাদান। এটি আমাদের স্বাভাবিক রক্তচাপ বজায় রাখতে, স্নায়ু ও পেশির কার্যকারিতা সঠিক রাখতে এবং কোষে পুষ্টি পরিবহণ করতে সহায়তা করে।
পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে মাথাব্যথা, বুক ধড়ফড়সহ বিভিন্ন ধরণের জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। একজন সুস্থ ব্যক্তির মধ্যে চার হাজার ৭০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকা উচিত। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই খাবারের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম পায় না।
অনেকে পটাশিয়ামের ঘাটতি মেটাতে কলা খেয়ে থাকেন। মাঝারি একটি কলাতে ৪২২ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পটাশিয়াম থাকতে পারে। তবে কলার চেয়েও বেশি পরিমাশে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কিছু খাবার আছে। সেগুলো হচ্ছে-
১. বিটরুট: বিটরুটে কলার চেয়েও বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। এক কাপ বিটরুটে প্রায় ৫১৮ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পটাশিয়াম থাকতে পারে। এ কারণে এটি উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করার পাশাপাশি রক্তনালিগুলোর কার্যকারিতা উন্নত করে ও হৃদরোগে উপকারী হিসেবে কাজ করে।
২. ডালিম: ডালিম অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর ফল ও পটাশিয়ামের একটি দুর্দান্ত উৎস। একটি ডালিমে ৬৬৬ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পটাশিয়াম থাকতে পারে। এ ছাড়া ডালিম ভিটামিন সি, কে এবং ফোলেট পরিপূর্ণ। আর এ ফলটিতে বেশিরভাগ ফলের তুলনায় প্রোটিনের পরিমাণও বেশি থাকে প্রায় ৪ দশমিক ৭ গ্রাম পর্যন্ত।
৩. পালংশাক: পুষ্টিকর বিভিন্ন খাবারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পালংশাক। আর এর এক কাপে প্রায় ৫৪০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পটাশিয়াম থাকতে পারে। তাই এ খাবারটিও আপনার শরীরের পটাশিয়ামের ঘাটতি মেটাতে সহায়তা করতে পারে।
৪. মটরশুটি: মটরশুটি পটাশিয়ামের একটি অনেক ভালো উৎস। এক কাপ মটরশুটিতে প্রায় ৮২৯ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পটাশিয়াম থাকতে পারে।
৫. মিষ্টি আলু: পটাশিয়ামের ঘাটতি মেটাতে মিষ্টি আলু ভাল একটি খাদ্য। মাঝারি আকারের একটি মিষ্টি আলুতে প্রায় ৫৪১ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পটাশিয়াম থাকতে পারে।
৬. ডাবের পানি: ডাবের পানি শুধু শরীরকে হাইড্রেট করতে উপকারী নয়, এটি শরীরের পটাশিয়ামের ঘাটতিও মেটাতে সহায়তা করে। এক কাপ বা ২৪০ মিলিলিটারে প্রায় ৬০০ মিলি পর্যন্ত পটাশিয়াম মেলে এতে।
৭. টমেটো বা টমেটো সস: টমেটো বা রান্না করা টমেটো খেলে তা আপনার শরীরের পটাশিয়ামের ঘাটতি মেটাতে সহায়তা করতে পারে। কারণ মাত্র তিন চামচ বা ৫০ গ্রাম টমেটোতেই ৪৮৬ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পটাশিয়াম থাকে।