ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠন করা কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মনিরুজ্জামান মিল্টন তদন্ত প্রতিবেদনটি হাইকোর্টে জমা দেন।
এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে এ প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। তদন্তের স্বার্থে এখন এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। প্রতিবেদন গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, সকালে আমার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এটি উপাচার্যের কাছে এবং হাইকোর্টে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার প্রধান সহযোগী তাবাসসুমের বিরুদ্ধে প্রশাসন বরাবর ভয়াবহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করেন নবীন শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল প্রশাসন পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই দিন বিকেল ৪টায় হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন।
১৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসককে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত সানজিদা ও তাবাসসুমকে ক্যাম্পাসের বাইরে রাখতে বলা হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর হল ছেড়ে চলে যান অভিযুক্তরা। ১৮ ফেব্রুয়ারি তদন্তের স্বার্থে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সর্বশেষ ২২ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটি।