ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাস্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সবসময় মৈত্রীপূর্ণ ও উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। চেষ্টা করেও কেউ সেই সম্পর্ক ভাঙতে পারবে না। দেশের সীমান্ত রক্ষার কর্তব্যে অবিচল থাকার জন্য বিএসএফের ভূওসী প্রশংসা করেন। সীমান্ত সুরক্ষা ও প্রযুক্তির উন্নতিতে একাধিক কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
মঙ্গলবার, বেনাপোল চেকপোস্টের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তের এক সরকারি অনুষ্ঠান থেকে এমনটাই বললেন তিনি।
তিনি সেখানে বিএসএফ ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে রয়েছে পেট্রাপোল থানা, আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও কার্গো গেটের ভিত্তি প্রস্তুর। এই নতুন গেট তৈরি হলে আমদানি-রপ্তানিতে গতিশীলতা বাড়বে।
এ উপলক্ষে প্রশাসন অমিত শাহ'র আগমন উপলক্ষে গোটা পেট্রাপোল সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। এ সময় ভারতীয় বিএসএফ ও পুলিশ বাহিনীকে স্ট্যান্ডবাই ও ডগ স্কোয়ার্ড বাহিনীও রাখা হয়। পরিচয় পত্র ছাড়া কাউকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার এ দু‘দিন পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আগামীকাল বুধবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।
ভারতের পেট্রাপোল ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পেট্রাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শশাঙ্ক শেখর ভট্রাচার্য জানান, আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে হেলিকপ্টারে করে ভারতের কালিয়ানি বিএসএফ ক্যাম্পে এসে নামেন অমিত শাহ। তারপরে সড়ক পথে পেট্রাপোল বন্দরে আসেন। বন্দর বিভিন্ন এলাকা ঘুরেঘুরে দেখার পাশাপাশি পেট্রাপোল থানার নততুন ভবন ও নব নির্মিত প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই ভবনটি তৈরি করেছেন সে দেশের ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। এছাড়াও পেট্রাপোল বন্দরের দ্বিতীয় কার্গো গেটের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন।
পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, এই নতুন গেট তৈরি হলে আমদানি-রপ্তানিতে গতিশীলতা বাড়বে। কার্গো গেটের উদ্বোধন শেষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিকালে পেট্রাপোল বন্দরের অনুষ্ঠান শেষে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।