চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে অফিসার ও শিক্ষক সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের কাজ। সহকারী শিক্ষা অফিসার,প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদে শুন্য রয়েছে প্রায় এক ‘শ টি। বর্তমানে এ অফিসে নয় জন সহকারী শিক্ষা অফিসারের স্থলে কর্মরত আছেন মাত্র পাঁচ জন। ২৪০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে নয়টি এবং সহকারী শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে ৮৫টি। তাছাড়া পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে পাঁচজন শিক্ষক ডেপুটেশনে রযেছেন। উপজেলার বাহিরে বদলী হয়েছেন ১৩জন। পদ্মা নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে চরবাগডাঙ্গা. হাসানপুর ক্যাথাপাড়া, নামোজগনাথপুর ও দিয়াড় পশ্চিম জাহাঙ্গীর পাড়া এ চারটি বিদ্যালয় স্থানান্তিত করে টিনসেটে দিয়ে ঘর তৈরী করে কোন ক্রমে কার্যক্রম চলছে। লাভাঙ্গা সুন্দরপুর, সাবেক লাভাঙ্গা ও হাঙ্গামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনো পরিত্যক্ত ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে ক্লাশ। এখনো অনেকগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সীমানা প্রাচীর না থাকায় শিশু শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাছাড়া বিদ্যালয় ছুটির পর প্রাচীরবিহীন বিদ্যালয়গুলির প্রাঙ্গনে বখাটেদের আড্ডা বসে বলে জানা গেছে।
পদ্মা নদীর ওপারে দূর্গম এলাকায় প্রায় ৩৫ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে, যে গুলিতে কোন শিক্ষক স্থায়ী ভাবে থাকে না। চেষ্টা তদবির করে অন্যত্র বদলি হয়ে চলে চলে যান। ফলে এ সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যলয়ে কাঙ্খিত শিক্ষা অর্জিত হয় না বলে এ সমস্ত এলাকার অভিভাবকদের অভিযোগ। তাদের দাবী হলো যারা দূর্গম এলাকায় যারা শিক্ষকতা করছেন তাদের জন্য যাতায়াত ভাতা, স্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা ও বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রাহনের মাধ্যমে তাদের স্থায়ী করণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃ পক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পরিমল ঘোষ জানান, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের শুন্য পদগুলি পূরনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহতি করা হয়েছে। ঝুঁকি পূর্ন ভবনগুলিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সুগুলি পুণ: নির্মাণের জন্য আবেদন করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষাবান্ধব প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নানাবিদ পদক্ষেপের কারণে শিবগঞ্জে শিক্ষার মান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত এক বছরে প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষক – অভিভাবকদের নিয়ে উঠান বৈঠক ও সচেতনতা বৃদ্ধি মূলক উদ্বৃদ্ধকরণ সভা করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু গত দুই বছরে ট্যালেন পুলে ১৩৫জন ও সাধারণ কৌটায় ১৪৫জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে।দূর্গম এলাকায় শিক্ষকদের স্থায়ী করণের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের নতুন ভবন ও সীমান প্রাচীর নির্মাণের কাজ আগামী কিছুদিনের মধ্যে শতভাগে উন্নীত হবে।