কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়ায় এক দশকের বেশি সময় ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ। অনেকটা গতিশীলতা হারিয়ে ফেলা এ সংগঠনে উঠেছে,স্বাধীনতা বিরোধীদের আশ্রয় পশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ। অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রয়াত অধ্যাপক এনামুল হক স্বাক্ষরিত ১৫ মে ২০১০ তারিখের এক রেজ্যুলেশন থেকে জানা যায় তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির এক সভায় ওইদিন ৫০ সসদ্য বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠিত হয়। সভাপতি হন অধ্যাপক এনামুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক হন শামসুজ্জামান বাবু। তবে ওই কমিটি কেন্দ্রে অনুমোদনের জন্য না পাঠিয়ে, ঘোষিত কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নিজেরায় অনুমোদিত লিখে স্বাক্ষর করেন।
এরপর একই ভাবে অনেকটা ধারাবাহিকভাবে গেল দশ বছর ধরে চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বঙ্গবন্ধু পরিষদ। আবার জেলা কমিটি মাধ্যমে গঠন করা হয়েছে উপজেলা কমিটি। তবে এসব কমিটিতে স্বাধীনতা বিরোধীদের আশ্রয় পশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
নানা সুযোগ সুবিধা পেতে এ সরকারের আমলেই স্বাধীনতা বিরোধীরা কৌশলে যুক্ত হয়েছেন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন গুলোতে।
যুদ্ধাপরাধী মামলায় সাজাপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাইদি’র মৃত্যুতে শোক জানানো নিয়ে ছাত্রলীগসহ আওয়ামিলীগ ঘরনার সংগঠনগুলো থেকে অনেককে বহিস্কারও করা হয়। এরপর থেকে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন গুলোতে স্বাধীনতা বিরোধীদের ঘাপটি মেরে থাকার বিষয়টি বেশ আলোচনায় আসে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বঙ্গবন্ধু পরিষদের কমিটিতেও এমন অনেকেই আছেন যারা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে হওয়া মুক্তিযুদ্ধেরই ঘোর বিরোধী ছিলেন, কিন্তু ঘোড় পাল্টাতেই যুক্ত হয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদে। কেউ কেউ নেতৃত্বও দিচ্ছেন।
গত এক দশকের বেশি সময় ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যক্রমে খুব বেশি সক্রিয়তা নেয়। এর সাধারন সম্পাদক (কেন্দ্র থেকে অনুমোদন নেয়) উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সংগঠনে খুব বেশি সময় দিতে পারেন না বলে অভিযোগও আছে। যদিও তিনিই ১০ বছরের অধিক সময় ধরেই আছেন নেতৃত্বে। অনেকটা একক নেতৃত্বের কারনেই বা সময় দিতে না পারায় বঙ্গবন্ধু কে তরুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা, কিংবা মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয়
তুলে আনতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নিজস্ব কর্মসূচী নেই বললেই চলে
বিষয় গুলো নিয়ে, যোগাযোগ করা হলে শামসুজ্জামান বাবু জানান, তাদের কমিটির অনুমোদন আছে। প্রথম কমিটি কি কেন্দ্র অনুমোদন করেছিলো,কেন্দ্রের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত কমিটির কাগজপত্র দেখতে চাইলে,তিনি তা দিতে পারেননি।
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের স্বাধীনতা বিরোধীদের আশ্রয় পশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমন কোন বিষয় তার জানা নাই। এমন কেউ কমিটিতে আছে কিনা, খতিয়ে দেখতে হবে। পদ দেওয়ার আগে বিষয়গুলো যাচাই করে কি দেখা হয়নি তাহলে, এমন প্রশ্নে তিনি কিছুটা বিরক্ত হয়ে যান।