সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলেও শিবগঞ্জে বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজে উঠতে শুরু করেছে। ফলে কমেছে পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে শিবগঞ্জে কেজি প্রতি ৮০/৯০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রী হচ্ছে। মোবারকপুর ইউনিয়নের কৃষক দুরুল হোদা জানান,কম সময়ে, কম খরছে ও কম খাটনিতে পেঁয়াজ ফসল খুবই লাভবান। আমি গত বছর দেড় বিঘা পেঁয়াজ আবাদ করেপ প্রায ৬০মন পেঁয়াজ পেযেছি। যা প্রায় ৫০ হাজার টাকায় বিক্রী করেছি। খরছ হযেছিল প্রায় ২০ হাজার টাকা। এবার আবারো একই জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছি। আশা করি ভাল ফলন পাবো। তাছাড়া কৃষি অফিসারগণ সব সময় খোঁজ খবর নেন এবংং পরামর্শ দেন।কৃষি অফিসের ভাষ্য যে হারে পেঁয়াজের আবাদ ও ফলন হচ্ছে তাতে শিবগঞ্জের চাহিদা মিটিয়েও বেশী হবে। কিন্তু পেঁয়াজ বিভিন্ন মোকামে পেঁয়াজ রাখাই মাঝে মাঝে কৃত্রিম উপায়ে পেঁয়াজের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২০২৪ বছরের মৌসুমে শিবগঞ্জে পেঁয়াজের আবাদ হযেছে প্রায ২৫০০ হেক্টর জমিতে। ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৫৩৯০ মেট্রিক টন।সূত্র মতে শিবগঞ্জে চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের আবাদ হওযা জাতগুলি হলো কন্দল তাহেরপুরী ,ফরিদপুরী ,বারি -২ , সুকসাগর, এন ৫৩। সামনে আরো পেঁয়াজের আবাদ বাড়বে। বর্তমানে যে জাতের পেয়াজ উঠতে শুরু করেছে সেগুলির ফলন অন্যান্য বছরের অনেক বেশী। প্রতিহেক্টর জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে ১৭ মেট্রিক টন। তাছাড়া দামও ভাল পাওয়া যাচ্ছে। কৃষি অফিস জানাচ্ছে পেঁয়াজ ফসল অল্প সময়ে, অল্প শ্রমে ও অল্প খরছে অধিক ফলন হওযায় কৃষক সমাজ দিন দিন পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছে।
উপসহকারী কৃষি অফিসার গোলাম আজম কনক ও রয়েল জানান, পেঁয়াজ আবাদে শিবগঞ্জর কৃষকরা যে ভাবে ঝুঁকছে তাতে অল্প কিছু দিনের মধ্যে বানিজ্যিক আকারে পেঁয়াজ আবাদ হবে।তারা আরো জানান, গত বছর শিবগঞ্জে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছিল ২৪০০ হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭ ২০ মেট্রিক টন। কিন্তু ফলন বেশী হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছিল। ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল হেক্টর প্রতি ১৫ মেট্রিক টন। কিণÍু ফল ন হয়েছিল প্রায় ১৬ মেট্রিক টন। তার আগে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছিল প্রায ১৭০০ হেক্টর জমিতে। ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায ১৪ মেট্রিক টন।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষি বিদ শরিফুল ইসলাম জানান শিবগঞ্জে প্রায় আট লাখ মানুষ বাস করে। প্রতিটি মানুষের জন্য প্রয়োজন হরে প্রতিদিন ৪০গ্রাম পেঁয়াজ। সে হিসাবে শিবগঞ্জে চাহিদা পূরণ করে অনেক বেশী পেঁয়াজ কৃষকরা বানিজ্যক ভাবে বিক্রী করতে পারবে। কিন্তু শিবগঞ্জের পেঁয়াজ সংরক্ষনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় কৃষক পেঁয়াজ উঠার সাথে সাথে সস্তা দামে বিক্রী করতে বাধ্য হয়। ফলে বড় বড় ব্যবসায়ীরাই কেবল সুবিধা ভোগ করে এবং উৎপাদনকারী ও সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার হয়। তিনি আরো বলেন কৃষকরা পেঁয়াজ উৎপাদনের সাথে সাথে যেন নায্য দাম পায় এবং বেশী আগ্রহী হয় সে জন কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া প্রত্যেক কৃষি অফিসার কৃষকদের সাথে যোগাযোগ করে সবসময় পরামর্শ দিতে আছে।