পৌষের শেষে জেঁকে বসেছে শীত ও হিমেল হাওয়া। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।থমকে গেছে মানুষের জীবনযাত্রা। প্রচন্ড শীতে সরিষা, আলু, ধানের বীজ তলা সহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে কৃষক সমাজ। বিশেষ করে দারিদ্র সীমার নীচে ও নদীভাঙ্গন কবলিত এলাকায় যারা বাস করে তারা সবচেয়ে বেশী কষ্টে আছে। কারণ দরিদ্র ও অসহায়রা না খাটলে খেতে পায় না। কিন্তু এ শীতে ও হিমেল বাতালে তাদের খাটা বন্ধ হয়ে গেছে। আর নদী ভাঙ্গন কবলিত পাঁকা, দূর্লভপুর,উজিরপুরও মনাকষা এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠী নদীর তীরে ও চরে বাস করায় ঠান্ডায় তাদের কষ্ট আরো বেশী।
অন্যদিকে ঠান্ডাজনিত কারনে বিভিন্ন রোগে আাক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক মানুষের সাথে সাথে সাথে শিশুরাও। শুধু মানুষই নয়। অতিরিক্ত শীত ও হিমেল বাতাসে পশু পাখিও কাবু হয়ে পড়েছে। গরু ছাগল পিপি আর, পাতলা পায়খানা ও ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে শত শত গরু ছাগল। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে খামারিরা। সরজমিনে নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা, আশ্রয়ন প্রকল্প গুলো , চককীর্তি -ধাইনগর ইউনিয়নের হিন্দু অধ্যূষিত অত্যন্ত গরীব এলাকা নামে খ্যাত চৌধুরী পাড়া গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে ঠান্ডার পোশাক কিনতে না পারায় খড় কুটা কুড়িয়ে আগুন জে¦লে ঠান্ডা নিবারণ করা চেষ্টা করছে। অনেক বয়স্ক মানুষ ঠান্ডায় থরথর করে কাঁপছে।তাদের আকুতি গরম কাপড় ও শীত বস্ত্র পাওয়ার।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, আমরা এপর্যন্ত সাত হাজার কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি।যা ইতিমধ্যে বিতরণ শুরু করেছি। তারমধ্যে নদী ভাঙ্গন কবলিত,আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা, অসহায় ও দু:্স্থদের মাঝে বিতরণ শুরু করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এবারে বরাদ্দের বিতরণ শেষ হলে আবারো তালিকা পাঠানো হবে। দু:স্থ ও অসহায় বান্ধব সরকারের আমলে কোন অসহায়,দু:স্থ মানুষ যেন কষ্ট না পায় সে জন্য যথাসাধ্য কাজ করে যাচ্ছি।