এক সময় আমার বাড়ি, জমি ও ব্যবসা ছিল। খুব ভাল ছিলাম । পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে পড়ে প্রায় আটবার বাড়ি সরাতে হয়েছে। জমি জমা বাড়ি ঘর সবই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে চরাঞ্চলে অসহায় জীবনযাপন করছি। গায়ে একটি গরম কাপড়ও নেই।এমনকি কোন সরকার বা সংস্থার কোন দয়াও হয়নি।একটুকরা গরম পোশাকও দেয়নি। ঘর থেকে বের হতে পারছি না। কথাগুলো বললেন শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের গমের চর গ্রামের ৬৫বছরের বৃদ্ধ সোনাদ্দি মন্ডল।একই কথা বললেন বিশরশিয়া গ্রামেরলিয়াকত আলি(৭০)হলদি-বোনা গ্রামের মোসা: আরিশন বেগম (৭০) বোগড়া উড়ি গ্রামের সেন্টু(৭২),বাবুপুর গ্রামের আজাহর আলি((৭০)সহ নদী ভাঙ্গন কবলিত উজিরপুর, পাঁকা ও দূর্লভপুর ইউনিয়নের শত শত লোকের একই অভিযোগ। তারা জানান এপর্যন্ত আমরা কোন শীত বস্ত্র বা গরম কাপড় পাইনি।
তারা আরো বলেন আমাদের বৃহত্তর দিয়াড় এলাকায় প্রায় ৬০ হাজার লোক এভাবেই অসহায় জীবনযাপন করছে।এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মতস্যজীবি লীগের সাধারণ সম্পাদক আশফাকুর রহমান রাসেল বলেন বিশেষ করে নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার প্রায ৫০ হাজার মানুষ অসহায় জীবনযাপন করলেও এখানে কোন সাহায্য সহযোগিতা আসেনি।যা অত্যন্ত দু:খ জনক।তিনি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ,বিত্তবান ও বিভিন্ন সংস্থার সুদৃষ্টি কামনা করেন।অন্যদিকে মনাকষা ইউনিয়নের শ্যামপুর সাহাপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা সরজমিনে ঘুরে জানা গেছে এ কনকনে শীতে বনপাড়ার ৪৪টি, তর্ত্তীপুরের এক‘শ টি পরিবার, কানসাটের প্রায় শতাধিক পরিবার সহ সর্বমোট ১৩‘শটি পরিবারের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ অসহায় জীবন যাপন করছে।মনাকষা ইউনিয়নের বনপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের একরামুল ঘশ(৮০),তাহের, আদরী বেগম,সাহেদা বেগম, সায়েরা বেগম,দুরুল হুদা জামেদা বেগম,কানসাট আশ্রয়ন প্রকল্পের আজকর আলি, এজাবুল হক,জেন্টু সহ প্রায় অনেকে জানান অসহায়ত্বের কথা।তাদের দাবী জরুরী ভিত্তিতে আমাদের আশ্রয়ন প্রকল্পের অসহায় মানুষের জন্য শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা করা হোক।

তারা আরো বলেন, এত কনকনে শীতে আমরা এ পর্যন্ত কোন শীত বস্ত্র পাইনি।শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবাযন অফিসার আরিফুল ইসলাম জানান,গত বছর এসব এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এবারো চেষ্টা করছি তাদের মাঝে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শীত বস্ত্র বিতরনের জন এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এফ ্ এম আবু সুফিয়ান বলেন, আমরা চেষ্টা করছি শীত বস্ত্র বরাদ্দ পাওয়ার জন্য। বরাদ্দ পেলে অগ্রাধিকা ভিত্তিতে বিশেষ করে নদী ভাঙ্গন ও আশ্রয়ন প্রকল্পের অসহায়দের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হবে।