প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে সে প্রদক গ্রহনের পর গ্রামে ফিরেছেন জিয়াউল হক। সকাল থেকেই তাই জিয়াউল হকের বাড়িতে তার ছোট্ট পাঠাগারে গ্রামের মানুষের ভিড়। একুশে প্রদক প্রাপ্ত জিয়াউল হককে নিয়েই একুশের প্রভাত ফেরি করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে জিয়াউল হকের সাথে বেশ কিছুসময় ধরে কথপোকথন হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তাই বুহস্পতিবার জিয়াউলের বাড়িতে অভিনন্দন জানাতে আসা অনেকেরই আগ্রহ ছিলো কি কথা হয়েছিলো প্রধানমন্ত্রীর সাথে, কি বলছিলেন সাধাসিধে জিয়াউল হক। প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথোপকথনের বিষয়ে জিয়াউল হক বলেন, আমি আমার পাঠাগারের স্থায়ী ভবন ও বই চেয়েছিলাম, সেই সাথে আমার এলাকার স্কুলটি সরকারি করনের দাবী প্রধানমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন।
অনেকে দিন থেকেই প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা ছিলো সাদা মনের মানুষ জিয়াউল হকের। অনেকের কাছেই বলেছিলেন সেই আকাঙ্খার কথা। তার সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ায়, খুশি ৯১ বছর বয়সী জিয়াউল হক। বলেন এখন মরেও শান্তি পাব।
জিয়াউল হক পাঠাগারের বই পড়ে আজ অনেকেই শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হয়েছেন। জিয়াউল হকের একুশের পদক প্রাপ্তির পর, তারও জানিয়েছেন জিয়াউল হকের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও নিজেদের আনন্দের অনুভূতি।
একুশে পদক প্রধান অনুষ্ঠানে প্রধান মন্ত্রীর কাছে নিজের জন্য কিছুই চাননি সাদা মনের মানুষ জিয়াউল হক হক, প্রধান মন্ত্রীর কাছে সাদাসিদে মানুষটির আবদার ছিলো, তার পাঠাগারের উন্নয়ন ও তার গ্রামের তারই সহযোগিতায় গড়ে উঠা স্কুলটি সরকারি করনের। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যেই জিয়াউল হকের সেই দাবি পূরনের আশ^াস দেন। প্রধানমন্ত্রীর আশ^াসে বেশ খুশি স্থানীয়রা।
এদিকে জিয়াউল হককে শুভেচ্ছা জানাতে তার বাড়িতে যান চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান ও পুলিশ সুপার ছাইদুল হাসান। এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জিয়াউল হকের পাঠাগারের জন্য বই উপহার দেন জেলা প্রশাসক। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত সকল বিষয় অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে।