চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বালুবাহী ট্রাক্টর যাতায়াতে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে সমির মেম্বার গ্রæপ ও আলাউদ্দিনের গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া পুলিশের প্রচেষ্টায় বন্ধ হলেও এলাকায় সাধারন মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেউ কোথাও কাজে যাচ্ছে না। এমনকি চাকুরী জীবিরাও নিরাপত্তার কথা ভেবে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। শুক্রবার সকালে ৯ বছরের এক শিশুকে মারা ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যদিও গত বৃহস্পতিবর রাতে মনাকষা ইউপির বর্তমান ও সাবেক মেম্মার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে সাধারন মানুষের চলাচল স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিযেছে। তারপরও শুক্রবার সকালে এক শিশুকে মারার ঘটনায এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সরজমিনে তারাপুর মিস্ত্রী পাড়া ও ঠুঠাপাড়া ঘুরে বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণীর মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে,বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও যে কোন সময় সংঘর্ষ বাধতে পারে।
সরেজমিনে দেখা ও ভুক্তভোগীদের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে গত বৃহস্পতিবারে উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় মাহিদুর রহমান(২৫)গোলাম আলি (৫০) মিঠন আলি(২০)কালু(১২) অসিম (২৬) তাবজুল হোসেন(৬০) এনামুল হক(৫৫) কামাল (৩২) খাইরুল ইসলাম(৩০) জসিম উদ্দিন, রাজ্জাক উদ্দিন, নুহু আলি ও তারেক মনোয়ার সহ প্রায় ২০জন আহত হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিতসাধীন রযেছে।তাছাড়া উভয় পক্ষের প্রায় সাতটি বাড়িতে ভাংচুর লুটপাট হয়েছে। যাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর হয়েছে তারা জেমসেদ আলি,কালাম,মোহফুল মজিবুর, মিজানুর। ,তার মধ্যে সবচেয়ে চেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে জেমসেদ আলির। তার বাড়ির একটি ঘর, সোকেস, টিভি একটি মিটার ভাংচুর, একটি গরু ও নগর ১ লাথ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে জানান জেমসেদ আলি ও তার স্ত্রী তাছাড়া বেশ বাড়ির টয়লেট ও চুড়া ভাংচুর করা হয়েছে। একটি বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। তাছাড়া একটি রাস্তার একটি বাঁশের সাঁকোঁ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে এলাকার ইউপি সদস্য সমির উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা আালাউদ্দিনসহ উভয় গ্রæপের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানান, আমরা শান্তি চাই ।এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোা; সাজ্জাদ হোসেন জানান,পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে ঘটনা স্থলে পুলিশ মোতায়েন রযেছে। কোন পক্ষই কোন অভিযোগ করেনি। স্থানীয় ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো বলেন জনগণের আতঙ্ক বা ভয়ের কোন কারণ নেই। উল্লেখ্য যে গত বুধবার দুপুরে ঠুঠাপাড়ার আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে নির্মান করা কাঁচা রাস্তা দিয়ে তারাপুর পোড়াপাড়ার মাটি ব্যবসায়ী বাবুর মাটি ভর্তি ট্রাক্টর আসতে বাধা দেয় আলাউদ্দিনের পক্ষের আতিকসহ ৭/৮জন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও পরে ধস্তাধস্তি হয়। এ ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যায় ডাকনি পাড়া মোড়ে বাবু সহ কয়েকজন ঠুঠাপাড়ার নুরশেদের ছেলে রাজ্জাককে ১০ টাক দিকে ঘটনা স্থুলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রনের আনার চেষ্টা করলে উত্তেজনা জনতা আরো ক্ষীপ্ত হযে উঠলে দুপুরে আরো পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।