পাইকগাছায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক দপ্তরের উদ্যোগে র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা আক্তার।
প্রভাষক বজলুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বিএডিসি'র সিনিয়র সহকারী পরিচালক নাহিদুল ইসলাম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক, সমাজসেবা কর্মকর্তা অনাথ কুমার বিশ্বাস, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইউআরসি ইনস্ট্রাক্টর ঈমান উদ্দিন, প্রেসক্লাব সহ সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ, রেশমা খাতুন, শিউলি সরদার, কৃষ্ণা চক্রবর্তী, শিল্পী মন্ডল, জ্যোতি মন্ডল, ফাহিমা খাতুন ও পুনম সরদার রশ্মি প্রমুখ।
পাইকগাছা উপজেলা পরিষদে বৃক্ষ প্রেমিক সিদ্দিকের বকুল গাছের চারা রোপন
পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে বকুল গাছের চারা রোপন করেছেন বৃক্ষ প্রেমিক সিদ্দিক গাজী (৬৭)। বৃক্ষ প্রেমিক খ্যাত সিদ্দিক গাজী উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের মৃত বেলায়েত গাজীর ছেলে। এলাকায় সবাই তাকে বকুল সিদ্দিক নামে পরিচিত। ১৯৮৫ সাল থেকে শুরু করে অদ্যাবধি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১২ হাজারেও বেশি বকুলের চারা রোপন করেছেন তিনি।
প্রথমে তিনি বিভিন্ন নার্সারী থেকে চারা কিনে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রোপন করতেন। এর পর ১৯৯০ সালে তিনি ১০ কাঠা জমিতে নার্সারী গড়ে তোলেন। যদিও এলাকার লোকজন নার্সারীটি নষ্ট করে দেয়। এরপর আবারও অন্যের জমি ইজারা নিয়ে নার্সারী গড়ে তোলেন। বর্তমানে তার নিজের ২ কাঠা জমিতে নার্সারী রয়েছে। ১৯৯০ সালে তৎকালীন ইউএনও মিহির কান্তি মজুমদার তাকে কপিলমুনি কলেজে মালি পদে চাকুরি দেয়। এ চাকুরি প্রত্যাখ্যান করে বকুলের চারা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন সিদ্দিক গাজী। বর্তমানে বিভিন্ন বিল থেকে বিরগুণি শাক সহ নানা রকমের শাক সংগ্রহ করে কপিলমুনি বাজার সহ বিভিন্ন গ্রামে বিক্রি করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। ২০১৫ সালে বকুল গাছ নিয়ে বিটিভি"র জনপ্রিয় "ইত্যাদি অনুষ্ঠানে তার একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করে এবং ৫০হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হয়।
সর্বশেষ গতকাল সকালে উপজেলা পরিষদে কয়েকটি বকুলের চারা নিয়ে হাজির হন সিদ্দিক গাজী। এর পর পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বৃক্ষ প্রেমিক সিদ্দিককে সাথে নিয়ে উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরে ওই চারা গুলো রোপন করেন। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, পেশকার ইব্রাহীম হোসেন, সিএ উত্তম কুন্ড, দীপঙ্কর প্রসাদ মল্লিক, আনসার সদস্য সাইফুল, হানিফ,প্রসেস সার্ভার নাদিম শেখ ,হিরন্ময়, সাংবাদিক এসএম আলাউদ্দিন সোহাগ ও শাহারিয়ার কবির সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পাইকগাছায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রশাসনের
সাথে পূজা পরিষদ-মন্দির কমিটির প্রস্তুতি সভা
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের সাথে পূজা উদযাপন পরিষদ ও সকল মন্দির কমিটির সভাপতি-সম্পাদকদের প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জেলা প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের নির্দেশনা মতে কঠোর নিরাপত্তা' বলয়ে ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে ১৩০টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক পূজা মন্ডবে সিভিল প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ ও সেনাবাহিনী'র টহল জোরদার করা হবে। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গতকাল বিকেল ৩টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় প্রস্তুতি মূলক সভায় অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ইনচার্জ ক্যাপ্টেন ইসবাত খান পলক, ওসি মোঃ ওবাইদুর রহমান, পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার, আনছার ভিডিপি কর্মকর্তা মৌলদা খাতুন,উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রানকৃষ্ণ দাশ,পৌর কমিটির সভাপতি বাবু রাম মন্ডল। জেলা পূজা পরিষদ নেতা মৃত্যুঞ্জয় সরদারের সঞ্চালনায় সভায় উপজেলা, পৌরসভাসহ বিভিন্ন মন্দির কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ পূজা পরিষদ নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল, রমেন্দ্রনাথ সরকার,কৃষ্ণেন্দু দত্ত,মুরারী মোহন সরকার, উত্তম কুমার সাধু,স্নেহেন্দু বিকাশ, বি,সরকার,প্রকাশ ঘোষ বিধান,কালিপদ বিশ্বাস, সুনিল চন্দ্র মন্ডল,সুকৃতি মোহন সরকার,দেবব্রত মন্ডল দেবু, বিদ্যুৎ বিশ্বাস, কনক চন্দ্র সরকার,সুজিত মন্ডল প্রমুখ।