চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সাবেক সেনা সদস্য কর্তৃক তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষনের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।অভিযুক্ত ধর্ষণকারী হলো সাবেক সেনা সদস্য ও ধাইনগর ইউনিয়নের পারগাছি গ্রামের মৃত আলহাজ ভুলু আলির ছেলে আলহাজ রফিকুল ইসলাম। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ নভেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর ইউনিয়নের পীরগাছি গ্রামে। ওই দিন ধর্ষনের শিকার শিশু শিক্ষার্থীর পিতা বাদি হয়ে শিবগঞ্জ থানা মামলা দায়ের করেন। ধর্ষনের শিকার শিশু শিক্ষার্থী বামুগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। মামলা নং ১৮, তারি-১১-১১-২০২৪।
এলাকাবাসী ও থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে সাবেক সেনা সদস্য রফিকুল ইসলাম শুধু শিশু ধর্ষনের সাথে জড়িত না, এ ধরনের অনেক ঘটনার সাথে জড়িত। প্রত্যক্ষদর্শী মোসাঃ সুরেফা বেগম জানান, ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর মাসহ বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রফিক আর্মি সেই সুযোগে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে ঘরের ভিতরে নিয়ে গিয়ে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং মুখে গামছা ঢুকিয়ে ধর্ষণ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। তার পরপরই শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসে; সব কিছু খুলে বলে দিলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এদিকে, শিশুটি নানী সহ এলাকার অনেকেই এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবী করেন। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, রফিক আর্মির ছেলে সানিও আর্মি। সে আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে রফিকুল ইসলামের স্ত্রী অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন তার স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। ব রফিকুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম সানি বলেন, আমার পিতাকে ফাঁসানো চেষ্টা করছে। এছাড়া আমি কাউকে কোনো ভাবেই হুমকি দেয়নি।
এদিকে, ধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বলেন, শিশু নির্যাতনের ঘটনাটি আমি শুনেছি। তিনি বলেন সাবেক সেনা সদস্য রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে ।মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা এস.আই হাসান জানান, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত রফিকুল পলাতক রয়েছে। নির্যাতিত শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ঘটনার দিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম কিবরিয়া জানান, ধাইনগর ইউনিয়নের পীরগাছি গ্রামে একটি শিশুর সাথে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে আসামী গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। আশা করছি দ্রæত সময়ের মধ্যে আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার পরপরই নির্যাতনের শিকার শিশুর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। ডাক্তাররা শিশুটির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তবে, পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাইনি। প্রতিবেদনটি হাতে পেলে আদালতে দাখিল করা হবে।