ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামের ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্রে সহস্রাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবারের জন্য সাড়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ফুলগাজীতে ৯৯ টি এবং পরশুরামে ৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে ২৭৯টি পরিবারের আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে ২০৫টি গবাদি পশু আনা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, এবার বন্যার কবলে পড়েছে জেলার সাড়ে ১১ হাজার মানুষ। এদিকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার, রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ফেনীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, ‘এখনো পানি বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আরও বাঁধ ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে।’
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় ৪০০ করে ৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্গতদের মাঝে রান্না করা খাবার সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মঙ্গলবার রাতে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ১৫টি স্থান ভেঙে গেছে। এতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো মানুষ।