নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের উন্নয়ন, রাজনীতি, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় খালেদা জিয়ার কোন ভূমিকা নেই। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের লালনপালন, মানুষ হত্যা, গ্রেনেড মেরে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে খালেদা জিয়ার ভূমিকা রয়েছে। তাই তার চিকিৎসা নিয়ে বাংলার ১৬ কোটি মানুষের মাথা ব্যথার কোন কারণ নাই। এটা নিয়ে তাদের কিছু যায় আসেনা।
মঙ্গলবার ভোলার চরফ্যাশনে বেতুয়া নদী বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে এক সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, খালেদা জিয়া একটি অন্ধকারের নাম। জিয়া পরিবার একটি খুনি পরিবার। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করছে।
দেশের ৩৫ তম নদী বন্দর ‘বেতুয়া নদী বন্দরের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডোর গোলাম সাদেক, জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ইলাহী চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের ১২ অক্টোবর বেতুয়া নদী বন্দরের গেজেট ঘোষণা করা হয়। দেশে মোট ৩৬টি নদী বন্দর রয়েছে। ২৪ অক্টোবর দেশের ৩৬তম নদী বন্দর ‘কোম্পানীগঞ্জ-সোনাগাজী নদী বন্দরের’ গেজেট ঘোষণা করা হয়। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৬টি নতুন নদী বন্দর ঘোষণা করা হয়। আরও ৫টি নদী বন্দর ঘোষণার প্রস্তাবনা রয়েছে। ৩৬টি নদী বন্দরের আওতায় বিআইডব্লিউটিএ’র নিয়ন্ত্রণে ৪৫৭টি ঘাট/পয়েন্ট ইজারা প্রদান করা হয়ে থাকে।
প্রতিমন্ত্রী এর আগে চরফ্যাশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্মারক বৃক্ষরোপণ ও জ্যাকব টাওয়ার পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সাবেক এমপি মরহুম অধ্যক্ষ এম এম নজরুল ইসলাম এর কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ।
প্রতিমন্ত্রী দুপুরে বেতুয়া নদী বন্দরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন উপলক্ষে চরফ্যাশন উপজেলা অডিটোরিয়ামে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। পরে ঘোষেরহাট বিআইডব্লিউটিএ’র লঞ্চঘাটে নৌচলাচল নির্বিঘ্ন ও সচল করার লক্ষ্যে সম্মুখস্থ নতুন চরের ড্রেজিং স্থান পরিদর্শন করেন।