দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফার ৬১ তম জন্মদিন ছিল ২ ডিসেম্বর। বিশেষ এই দিনটিতে তিনি দেশে ছিলেন।বর্তমানে তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন। জন্মদিনে কাছে না পেয়ে সবচেয়ে কাছের মানুষ অর্থাৎ তার স্বামী-নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদের বেশ মন খারাপ। স্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘মুস্তাফা, তোমাকে খুব মিস করছি। শুভ জন্মদিন। দ্রুত আসো প্লিজ।’

স্বামীর প্রেমময় এ শুভেচ্ছা বার্তায় জবাবও দিয়েছেন সুবর্ণা। মন্তব্য করেছেন, ‘আমিও তোমাকে অনেক বেশি মিস করছি। তোমাকে সবসময় ভালোবাসি।’
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন নন্দিত অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। ১৯৫৯ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আশির দশকের জনপ্রিয় এই টিভি অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। তবে তার পৈতৃক নিবাস ঝালকাঠি জেলার দপদপিয়া ইউনিয়নে। তার বাবা ছিলেন খ্যাতিমান অভিনেতা ও আবৃত্তিকার গোলাম মুস্তাফা। মা ছিলেন পাকিস্তান রেডিওর একজন প্রযোজক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন সুবর্ণা মুস্তাফা। অভিনয়ে বিশেষ অবদান রাখার জন্য একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ নানা স্বীকৃতি। এ ছাড়াও ঢাকা থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের এমপি হয়েছেন তিনি।
প্রথমে মঞ্চে কাজ করলেও আশির দশকে টিভিতে অভিষেক ঘটে সুবর্ণা মুস্তাফার। মঞ্চ ও টিভি- দুই মাধ্যমেই জনপ্রিয়তা পান তিনি। তবে আলোচনায় আসেন ১৯৯০ সালে বিটিভিতে প্রচার হওয়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে বরকত উল্লাহর পরিচালনায় ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের মাধ্যমে।
এরপর ‘আজ রবিবার’ নাটকটিতেও দর্শকদের মুগ্ধ করেন সুবর্ণা মুস্তাফা। চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে ১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ‘ঘুড্ডি’র মাধ্যমে। ১৯৯২ সালে ‘শঙ্খনীল কারাগার’ ছবির মাধ্যমে সিনেমাপ্রেমিদের মনে দোলা দেন তিনি।
এ ছাড়া ‘নয়নের আলো’ ছবিতে তার অভিনয় সব শ্রেণির দর্শককে নাড়া দিয়েছিল। ১৯৮৩ সালে ‘নতুন বউ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান।
সুবর্ণা প্রথমে অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দীর্ঘ ২২ বছর সংসার করার পর ২০০৮ সালে ফরীদির সাথে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরবর্তীতে তিনি বদরুল আনাম সৌদকে বিয়ে করেন।