শিরোনাম
  • ফের যে আসন থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল কে এই নতুন মেসি-ইয়ামাল? ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে যে নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আলুর দাম নিয়ে যে দুঃসংবাদ শোনালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ নিয়ে যা জানালেন আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার নির্বাচন নিয়ে চাপ দিলে পদত্যাগ করবো: সিইসি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • সাঘাটায় বাঁধ ভেঙে ১৫ গ্রাম প্লাবিত, অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

    গাইবান্ধা প্রতিনিধি

    ৫ জুলাই, ২০২৪ ১০:২৪ পূর্বাহ্ন

    সাঘাটায় বাঁধ ভেঙে ১৫ গ্রাম প্লাবিত, অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

    টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় যমুনা নদীর পানি হু-হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধির কারণে থানার পূর্ব পাশের পয়েন্টের পানি বিপৎসীমা ছুঁই-ছুঁই করছে। এতে করে একটি গ্রামীণ বঁাধ ভেঙে গেছে। ফলে উপজেলার বন্যানিয়ন্ত্রণ বঁাধের পূর্বাংশের সমস্ত এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।


    জানায় যায়, গত ৫ দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢল নেমে আসায় উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বঁআধের পূর্বাংশ প্লাবিত হয়েছে। ভরতখালী ইউনিয়নের শ্বশান ঘাট এলাকয় বঁাধ ভেঙে বরমতাইড়, উত্তর উল্যা ও দক্ষিণ উল্যা এলাকার লোকালয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া হলদিয়া, ঘুড়িদহ ও জুমারবাড়ী  ইউনিয়নে ১৫টি গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি কৃষকের জমির পাট, কাউন, তীল ও শাকসবজিসহ বর্ষাকালীন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। লোকজন পরিবারের শিশু, বয়ষ্ক লোক ও গবাদি পশু-পাখি নিয়ে নিয়ে বিপাকে পড়েছে। এসব মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে।


    খোজ নিয়ে জানা গেছে, সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের চিনিরপটল, খামার পবনতাইড়, হলদিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর, বেড়া, গাড়ামারা, দীঘলকান্দি, পাতিলবাড়ী, গুয়াাবাডী, কালুরপাড়া, কানাইপাড়া, কুমারপাড়া এবং জুমারবাড়ী  ইউনিয়নের কাঠুর, থৈকরের পাড়া ও পূর্ব আমদির পাড়াসহ কমপক্ষে ১৫টি মৌজা প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকার কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।


    বন্যার পানিতে প্লাবিত ওইসব এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অঘোষিতভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। লোকজন গবাদি পশু-পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এসব এলাকার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা বেকার হয়ে পড়েছে। ফলে তাদের মধ্যে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মানুষের পাশাপাশি গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন গবাদি পশুর মালিকেরা। 


    সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট জানান, সাঘাটা ইউনিয়নের ৬টি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়ে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব পানিবন্দি মানুষ এবং গো-খাদ্যের সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। জরুরিভাবে এসব এলাকায় বন্যার্ত মানুষের জন্য খাবার এবং গো-খাদ্য ব্যবস্থা করা দরকার। 


    সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসাহাক আলী বলেন, বন্যার পানি আসছে শুরু হয়েছে জেনে নৌকা যোগে বন্যা কবলিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সাথে সাথে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি দিয়েছি। এখন চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা নিরুপন করা হবে। 




    সাতদিনের সেরা খবর

    সারাদেশ - এর আরো খবর

    যে কারণে ৭ দিন বন্ধ সোনাহাট স্থলবন্দর!

    যে কারণে ৭ দিন বন্ধ সোনাহাট স্থলবন্দর!

    ৫ জুলাই, ২০২৪ ১০:২৪ পূর্বাহ্ন